সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎতের খুটি বেকে তারঁ নীচে পড়ে দূর্ঘটনায় প্রানহানী ঘটছে। বিশেষ করে হাওর এলাকায় বিদ্যুতের তারের কারণে ঘটছে নৌদুর্ঘটনা। অপরিকল্পিতভাবে হাওর এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে ঝুলন্ত বিদ্যুতের তার এখন দুর্ঘটনার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি বিদ্যুতের তারের স্পর্শ লেগে পানিতে পড়ে এক তরুণের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
এলাকাবাসী ও জগন্নাথপুর উপজেলা বিদ্যুৎ কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে রানীগঞ্জ, চিলাউড়া হলদিপুর, পাইলগাঁও, আশারকান্দি ও পৌর এলাকার একাংশে হাওরের উপর দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন টানার কারণে বন্যার পানি বেড়ে নৌদুর্ঘটনার সৃষ্টি করছে। গত ১৯ জুলাই পৌর এলাকার পশ্চিম ভবানীপুরে বিদ্যুতের তারে স্পর্শ লেগে এক নৌশ্রমিক নিখোঁজ হন। এর দুইদিন পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও মই হাওর ও নলুয়ার হাওরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন বিভিন্ন জায়গা থেকে জগন্নাথপুর উপজেলায় যাতায়াতকারী নৌকার যাত্রী ও শ্রমিকরা।
জগন্নাথপুর উপজেলার নৌশ্রমিক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বর্ষা মৌসুমে জগন্নাথপুর উপজেলা সদর থেকে দিরাই উপজেলাসহ ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে নৌপথে যাতায়াত রয়েছে। এছাড়াও কম করচে বড় বড় নৌযানে ইটসহ বিভিন্ন মালামাল আসে। এসব নৌকার যাত্রী ও শ্রমিকরা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। নিয়মিত যাতায়াতকারী নৌকাগুলোর চালক ও যাত্রীদের চলাচলের পূর্বে ধারণা থাকলেও নতুন কোনো নৌকা এলে তা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নাগরিক ফোরামের নেতা নুরুল হক বলেন, প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে শত শত নৌকা চলাচল করছে। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
জগন্নাথপুর উপজেলার বিদ্যুৎ প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা দুর্ঘটনা রোধে কাজ করছি।
Leave a Reply